এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আদালত আজ খালেদা জিয়া ও অন্যান্য আসামিদের বেকসুর খালাস দেন।
এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন:
- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী
- বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক
- নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ
- জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম
- সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসাইন
- ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
- বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম
আদালতের রায়ের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই রায়কে ন্যায়বিচারের জয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, অন্যদিকে দুদক মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছে বলে জানা গেছে।